Spread the love
জহ্নকন্যা
এই যে তুমি দেখলে আমায়, জানলে আমায়, শুনলে আমায়..
কি দেখলে, কি জানলে, কি শুনলে?
চলে যাওয়ার ভীষণ তাড়ায়!
ব্যক্তিগত ঝগড়া
ব্যক্তিগত গৃহে বৈঠক চলছে-
ফেলে আসা নুড়ির শরীরে সাঁঝনামা যে লিখে গিয়েছে তার সন্ধানে,
যদিও একটা লাল মুখোতিল বলেছিল,
তার কথা সে জানে কিন্তু সভামণ্ডলী পাত্তা দিলো না তাকে।
অন্যদিকে দুপুর রোদে কুঁকড়ে যাওয়া ভ্রু বিরক্ত হতে হতে বলল, তা আর এমন কি কষ্ট এই খুঁজে পাওয়া। শুধু
পদ্মের মতো টানটান হতে হবে অষ্টপ্রহরে।
হঠাৎ টেবিলের ওপর জোরে চড় মেড়ে নিষিদ্ধ চুড়ি ঘোমটা টেনে বলল, এসব বালছাল নিয়ে ভেবো না, দেখবে সুড়সুড় করে বাইন মাছের মতো বেড়িয়ে আসবে কাদা থেকে। শুধু একদিনের অপেক্ষা…
কার যেনো আচমকা মায়া হলো চোখ দেখে। শুধু সেই বলল, রাত হতে চললো ঝুলে পড়া জ্যোৎস্নার, চলো ঘুমাতে হবে। এ অল্পদিনের কারবার না, সময় লাগবে।
নিথর সুখ
শোন,
মৃত আত্মাও চেয়ে থাকে
এপারে হোক দেওয়া,
ঈশ্বরের কাছে তার নামে ছদকা।
আমিতো তা নই!
সকাল-সন্ধ্যা নিশ্বাসের সাথে দীর্ঘশ্বাস আসে
মধ্যরাতে শ্মশানের পোড়া দেয়ালে
শ্রেণিহীন ছাইয়ের চিৎকারের মতো
বুকে ব্যথা উঠে।
নিজের মানুষটির চোখে
বিশুদ্ধতার অমৃত চোখ রাখতে দেখলে
একটানে খাতার পৃষ্ঠা ছেড়ার মতো
আহ! শব্দে অতৃপ্তি বেরিয়ে আসে
পুষে রাখা সাতটি আমন ফুল থেকে।
ষোড়শীর ঠোঁটে দাগকাটা শিহরণ দেখে
শিশির জমা জ্যোৎস্নায়
বারবার গলে যাই
কাঠগোলাপের ভিতরে।
তবে কেনো আশাহত হবো বলো-
শিশুর নরমগালে হাত বুলানোর মতো
দৃশ্যময় নিথর সুখ
বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও
কেনো পেতে চাইবোনা বলো!
কেনো ডানাভাঙা পাখির মতো
অথবা ঝরেপড়া পাতার মতো
আশাহত হবো!
Facebook Comments