‘মিস করি’ সিনট্যাক্সের বাইরে, তোমাকে
১.
যখন তোমার আশেপাশে বসি, একটা ভ্রমণের মতো লাগে। মনে হয় তিন রঙের টিউলিপ কাছেই ফুটে আছে আর তুরাগের শ্যামলা ঢেউ টোকা দিচ্ছে আমাদের নীরবতায়—কেউ একজন সংকেত দিচ্ছে, সন্ধ্যা ছাপিয়ে সেইটুকু আলো চেয়ে আছে।
কখনো হঠাৎ মনে পড়ে, অন্ধকারেও আমি কাঁটাযুক্ত গাছগুলোকে না মাড়িয়ে চলতে শিখেছি, তার ছোট্ট ফুল, গোলাপি রেণু উড়ছে। চোখ বন্ধ করে বহুবার দেখেছি চাঁদের সভা, শিমুল গাছ থেকে অন্ধ বাঁদুর উড়ে যাচ্ছে। মনে পড়ে, ফুলার রোড—তোমাকে না ছুঁয়েও ঝরে গেছে চন্দ্রমল্লিকা রাত!
একটা ফ্যাসিস্ট ক্যালেন্ডার এবং তার বন্ধ তারিখগুলো আমি পাড়ি দিচ্ছি। পামুক যে ‘ হুজুন’ এর কথা বলে আমাদের শহরেও সেই একই বাতাস, বিষাদগ্রস্থ সব মানুষ আর মৃত্যু গুণে রাখা৷ গলিতে ফকিরের সুর করা ঠাট্টা, তিনটা শিশু মা’য়ের ছায়ায় পা ফেলে হাঁটছে৷ আর আমি তুমি সরকারি চাকরীবিহীন, পুলিশের তাড়া খেয়ে পাশাপাশি হাঁপাই—
যখন তোমার কাছাকাছি থাকি, নদী আর সন্ধ্যা ছাড়াই একটা ভ্রমণ লেগে থাকে!
২.
বৃষ্টির সম্ভাবনা নাই তবু তোমার থেকে দূরে আছি—
কল্পনা করি পৃথিবীতে এখন আষাঢ় মাস৷
একটা ছিপছিপে দোকানে আমরা আটকা পড়বো বলে
আকাশে মেঘ জমে আছে।
জানি না, পাশাপাশি দাঁড়ালে সুখী দেখায় কিনা
বাতাসে বাউল গন্ধ,
একটা সুসংবাদের মতো আচমকা মনে পড়ে যাও
যেখানেই থাকি
জানালার ছলটুকু এই
পর্দা সরাতে গেলে তুমি যেন আমার কথাই ভাবো
সারাদিন কত দৃশ্য হয়ে উঠি
বারান্দায় শুকনা কাপড়, কোনো দুপুরে ঘুমের মধ্যে
বিড়ালের নির্জনতা ঢুকে যায়
শোনো—
পৃথিবীতে কত গান!
আর প্রতিটা সুরের মধ্যে আমাদের হেঁটে যাওয়া আছে