শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০২৩
Home > দেশ > প্রকৃতির বন্ধু করোনা |

প্রকৃতির বন্ধু করোনা |

Spread the love
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে দেখা দেয় করোনা ভাইরাস৷এরপর  পুরো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি৷এই ভাইরাসটি মানুষের জন্য আতঙ্কের কারণ হলেও প্রকৃতির বন্ধু
করোনার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দফায় দফায় চলচ্ছে লকডাউন৷ একের পর এক দেশ লকডাউনের ফলে কমেছে পরিবেশ দূষণ৷গত ৭ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের দেখা দিয়েছে ঝকঝকে নীল আকাশ৷ লোকালয়ে ফিরছে বিরল পাখি কীটপতঙ্গ ৷ বিশুদ্ধ নীল আকাশ আর শুদ্ধ বাতাস উপভোগ করছেন ইউরোপীয়রা৷ পুরো কৃতিত্ব এই করোনার৷ দফায় দফায় জলবায়ু সম্মেলনে যা সম্ভব হয়নি তা এই করোনা করে দেখিয়েছে ৷ করোনায় বন্ধ হলো কারখানা, বন্ধ হলো কালো ধোঁয়া, বন্ধ হলো পরিবেশ দূষণ৷  বাতাসে কমেছে দূষিত বায়ুর পরিমাণ৷ বিশ্বব্যাপী যানবাহন চলাচল করচ্ছে ৪ ভাগের ১ ভাগ৷ গবেষকদের মতে দূষণ কমেছে ৫% যা গত ৭৫ বছরেও ছিল অসম্ভব ৷ পৃথিবী আবার তার আগের রুপে ফিরছে৷ লোকালয়ে ফিরছে নাম না জানা শত পাখি-কীটপতঙ্গ৷ বাংলাদেশেও করোনার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ৷
 কক্সবাজারের প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। করোনাভাইরাসে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে এখানে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। জনশূন্য সৈকতে নির্জনতার সুবাদে জেগে উঠেছে প্রকৃতি। বালিয়াড়িতে ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ করছে লাল কাঁকড়া, ডালপালা মেলতে শুরু করেছে সাগরলতা। লোকালয়ের কাছে এসেই ডিগবাজিতে মেতেছে একদল ডলফিন। সৈকতে প্রকৃতির এমন পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন পরিবেশবিদরা। সাধারণত প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে সৈকত। তবে পর্যটনের বিকাশে প্রকৃতি ও পরিবেশ কতটা বিনষ্ট হয়েছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে এখন। দালান নির্মাণ, যত্রতত্র বর্জ্য ফেলাসহ বিভিন্ন কারণে জীববৈচিত্র্য হারাতে বসেছিল। করোনার ফলে প্রকৃতিতে ফিরছে সজীবতা৷  আশা করি এই সজীবতা বজায় থাকুক৷
Facebook Comments