চিরদিন থাকতে বলিনি তো!
একবার কাছে এলে কী দোষ? তুমি বললে-‘কাছে আসা মানে প্রশ্রয় দেয়া।
‘ তুমি বোঝোনি-‘কাছে আসা মানে সবকিছু দিয়ে দেয়া নয়।’
ভালোবাসতে বলিনি তো!
আমি চেয়েছি একবার কথা বলতে! তুমি বললে-‘কথা বলা ভয়, সে কী
করে হয়?’
তুমি বোঝোনি, ‘কথা বলা মানে ভালোবাসা নয়!’
তুমি দেখোনি দুটি হাতের মমতা তুমি দেখেছ অনেক চোখ,
রিক্তরূপে চেয়েছিল তোমার দিকে, তুমি তাদের মত আমায় ভাবলে!
আহ্! তুমি দেখোনি চাঁদের আলো যখন নীল হয়ে ঝরে দুধগলা জোৎস্নার মত!
তুমি বোঝোনি আমার প্রেমের পদ্য, সবকিছু ফিকে হলেও সেটা থাকে অবিনশ্বর, অনবদ্য!
তবু এসব দেখতে বলিনি তো! তোমায় দেখতে চেয়েছি।
তুমি বললে-‘বারবার দেখাদেখি, আমি নই এমন কোন নারী!’
তুমি তখনও বোঝোনি নারী আর মদের পার্থক্য, বোঝোনি পুরুষ আর নিভে যাওয়া নক্ষত্রের মিল! তুমি তবু তোমার নিয়মে সদা অমৃতময়
তুমি তবু শুধু ‘নারী’ ভাবলে নিজেকে! শুধু একবার বুঝতে বলেছি!
কীভাবে হৃদয় ছিঁড়ে উড়াই ব্যথার নাটাই দিয়ে! কীভাবে হিমস্রোত হয়ে ভাসি তোমার নীড়ের পাশে, কীভাবে কতশত বার প্রাণ হারিয়ে লুটাই মাটিতে, কীভাবে শুধু তোমাকে একবার দেখার জন্যে, আমার অর্ধেক জনম মাটিতে পুঁতে রেখে আসি। কীভাবে হৃদয় কেটে যায়, তবু রক্তপাত হয়না, কীভাবে জীবাত্মা ভেঙে যায়- তবু মর্মর শব্দ হয়না, কীভাবে! তুমি তবু এসব বোঝনি তুমি তবু এসব বোঝনা…!