শেখ মাহমুদ ইসলাম মিজু
সম্পাদক, অক্ষর বিডি ডটকম
প্রস্তুতি ম্যাচ গেলেও ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে টাইগারদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত উইন্ডিজকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টিম টাইগার। মাশরাফি বিন মর্তুজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবীয়ানদের ২৬১ রানে আটকে দেওয়ার পর তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিটাই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয় বাংলাদেশকে।
প্রথম উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেন এদুজন। যাতে তামিম-সৌম্যর ভাঙা হয়ে গেছে ২১ বছরের একটা রেকর্ডও। ১৯৯৮ সালে ভারতের মাঠে কেনিয়ার বিপক্ষে ১৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটিটা গড়েছিলেন আতাহার আলী খান ও মোহাম্মদ রফিক। বিদেশের মাটিতে সেটাই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। কাল তামিম-সৌম্য সেই রেকর্ডটাকে নিজেদের নামারে পাশেই লিখিয়ে নিয়েছেন। তবে এরেকর্ড গড়ার ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না।
উইকেট একেবারেই ব্যাটিংয়ের জন্য ছিল না সহায়ক। পেছনের বলগুলো ঠিকঠাক খেলা গেলেও সামনের বলগুলো খেলতে পোহাতে হচ্ছিল ব্যাপক ঝামেলা। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে সৌম্য নিজের মতো করে এগুলেও তামিম ইকবাল সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না ঠিক।সিঙ্গেল বের করতে পারছিলেন না, ব্যাটে বলে হচ্ছিল না, শট ফিল্ডারদের হাতে চলে যাচ্ছিল। এমনও হয়েছে একটা পর্যায়ে ৩০ বল খেলে তামিমের ব্যাটে রান মাত্র ৬! এ যেন এক বিরাট হতাশা। তবে তার বুকে সাহশের কোনো কমতি ছিল না।
এমন কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করে কীভাবে হয়ে উঠলেন রেকর্ডগড়া জুটি? এ গল্পটা না হয় আমরা সৌম্যর মুখেই শুনি। গতকাল (৭ মে) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তরুণ এ তাগড়া ওপেনার বললেন, ‘এমন হয়নি যে তামিম ভাই রান করছিল না বলে আমরা আটকে পড়ছিলাম। আমাদের কোনো চাপ আসেনি। উনি আমাকে বলছিলেন যে, তুই তোর নরম্যাল খেলাটা খেল। একটা সময় দেখিস ম্যাচ ঠিক আমাদের হাতেই চলে আসবে। ওসময় আমিও তাকে বলছিলাম যে, আপনার খেলা ঠিক আছে, একটা ওভার ভালো গেলেই আপনি পরে রান কাভার করে ফেলতে পারবেন।’ এসব নিয়েই কথা হচ্ছিল তাদের মাঝে। সর্বশেষ সৌম্য বললো ‘আমরা তখন দুজনই দুজনকে বলছিলাম যে, জোরাজুরি করা যাবে না, খেলাটা ধরে খেলতে হবে”
পাঠক, তার মানে কি জোরাজুরি না করেই তামিম-সৌম্যর এমন রেকর্ড!?