Green Chilli
অনেকেই ঝাল খেতে পারেন না বলে রান্নায় মরিচ কম ব্যবহার করেন। কিন্তু একটি মরিচ দিয়েই যদি পাঁচ-পাঁচটি সমস্যার সমাধান করে ফেলা যায়। তার পরেও কি মরিচকে ব্রাত্য করে রাখবেন?
রান্নায় ঝাল দেওয়া হবে, না হবে না তা নিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। কেউ ঝাল খেতে ভালবাসেন, আবার অনেকে ঝালের ভয়ে একেবারেই মরিচ এড়িয়ে যান। অনেকেই মনে করেন, মরিচ খেলেই বোধ হয় পেটের সমস্যা হয়।
পুষ্টিবিদদরা বলেন, সব জিনিসেরই ভাল-মন্দ আছে। তাই কোনও জিনিস বেশি খাওয়া ভাল নয়। তবে কাঁচা মরিচ কিন্তু অনেক গুণ। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, আয়রন, কপার, পটাসিয়াম এবং প্রোটিনে ভরপুর কাঁচা মরিচ খেলে ওজন তো কমেই, পাশাপাশি মরিচের মতো ঝাল, জ্বালাকারক একটি সব্জি যে ক্যানসার প্রতিরোধ করে, তা জানতেন কী?
কোন কোন শারীরিক সমস্যা দূরে রাখতেমরিচ খাওয়ার অভ্যাস করবেন?
১) ওজন কমাতে সাহায্য করে
মরিচের মধ্যে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক যে যৌগটি আছে তা শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় রক্তে থাকা বাজে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে এই মরিচ।
২) ক্যানসার প্রতিরোধক
কাঁচা মরিচে রয়েছে ফ্ল্যাবনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহ নাশকারীও। এ ছাড়াও ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক যৌগটি স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৩) হৃদযন্ত্র ভাল রাখে
‘ক্যাপসাইসিন’ নামক যৌগটি যে হেতু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তাই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
৪) তারুণ্য ধরে রাখে
কাঁচা মরিচে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। মরিচে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকে খুব একটা বয়সের ছাপ পড়ে না।
৫) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
একদম ছোট বাচ্চাদের মরিচ খাওয়ানো যায় না। একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি মরিচ খাওয়ানোর অভ্যাস করানো যায়। তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।