Spread the love
ফারিহা খান: করোনা ভাইরাস নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে, তাই অনেকের ধারণা এটি হয়তো সম্পূর্ণ নতুন কোনো ভাইরাস। যদিও মোটেও তা নয়, বরং ১৯৬০ সালে প্রথমবার মুরগি থেকে করোনা ভাইরাসের আবিষ্কার হয়।
করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণীকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনা
ভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এটি একটি SARS গ্রুপের ভাইরাস। ১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনাভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে। বাদুড়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত সার্স ভাইরাসের বিবর্তনের একটু যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরীরা প্রথমে হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এরপরে তা রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, পরবর্তীতে ভামের মধ্যে এটি ছড়ায় এবং সর্বশেষে ছড়ায় মানুষের মধ্যে।

প্রথম ২০০৩ সালে মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। যা মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই (এইচকোভি-২২৯ই) নামে পরিচিত। সর্বশেষ ২০১৯ সালে WHO নোভেল করোনা ভাইরাস আবিষ্কার করেন।
এই ভাইরাসটির সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় এটি মানুষের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ :
১.জ্বর
২.অবসাদ
৩.শুষ্ক কাশি
৪.বমি হওয়া
৫.শ্বাসকষ্ট
৬.গলা ব্যাথা
৭.মাথা ব্যাথা
৮.পেটের সমস্যা
৯.কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
তাছাড়া ডায়রিয়া, ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, খাবারের স্বাদ বুঝতে না পারা, চোখ গোলাপি হয়ে যাওয়া এ রকম নানা নতুন নতুন উপসর্গ জেগে উঠছে করোনা সংক্রমণে। এমনই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
Facebook Comments