আশি বা নব্বই দশকের ক্যাম্পাসের দিনগুলি কেমন ছিল?শাড়ি পরে,দুই পাশে বা একপাশে বেণী ঝুলিয়ে ক্লাস করা! না ছিল তখন সেলফি বা মোবাইলের ব্যস্ততা।সেটি নিয়েই মারজান চৌধুরীর আজকের আয়োজন।

কড়ইতলায় এখনো কারো আসার নাম নাই, ক্লাসের সময় হয়ে এলো। স্কাওরিং অধ্যায়টাতে চোখ বুলিয়ে নিই একটু।
‘এই শোন না শোন,আনিকার মা মেহেদী ভাইয়ের চিঠি আনিকার বালিশের তলায় খুঁজে পেয়েছে। খালাম্মা নাকি খুলে পড়েও ফেলেছে হি হি।’
ক্যান্টিনের আড্ডায়
‘মারু আমার চা শেষ,বান এখনো বাকি। তোর চা দে না একটু!’
‘খবরদার আমার চা’য়ে নজর দিবি না। ‘
‘এই কি পড়িস সারাদিন বসে বসে?’
বাহ্ তোর মুনা ভাবী সন্দেশটা কিন্তু বেশ বানায় রে।
‘এটা খা এটা খা,বেশি মজা’.
‘শোন তারপর উপন্যাসের কাহিনীটা কোনদিকে যায় বলি!’
‘আরে আমি বলি শোন,কালকে আমার মেয়ে কি কান্ড করছে!’
‘পড়াশুনায় তোরা দুইজন একটু মনযোগ দিবি? ‘ একজন আছে গল্পের বই নিয়ে আরেকজন জামাই মেয়ে।
পরীক্ষার দিন তো ‘আমরা দুইজন শেষ এবার!মাথায় কিচ্ছু নাই’ বলে বলে মাথা ধরায় দিস।