কাজী লীনা: চুল তার কবেকার অন্ধকার
বিদিশার নিশা….
সুন্দর চুলের প্রতি মানুষের আগ্রহ অসীম।নারীর চুলের কত নান্দনিক উপস্থাপন দেখা যায় সাহিত্যে।তখন কিন্তু নিজের চুলের সাথে এক ঝলক মিলিয়ে নেয়ার ইচ্ছে হয়।কবি যে চুলের উপমা দেয় কবিতায় পাঠকের কি ইচ্ছে হয় না সেই চুলের মত নিজের চুলকে সাজাতে?
তবে বর্তমানে আমরা যেভাবে জীবন যাপন করি তাতে কি কবিতার মত চুল পাওয়া যাবে?সুন্দর চুল পেতে দরকার আপনার একটু মনোযোগ আর যত্ন।দিব্যি হেসে উঠবে আপনার চুল,সাথে আপনিও।
চুলে রঙ করা এবং বিভিন্ন রকম রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে চুল ভঙ্গুর ও শুষ্ক হয়ে যায়।তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে আপনার চুলের হারানো সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে পারেন।সঠিকভাবে চুল ধোয়া ও সাজানো,ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য পরিহার করা এবং পুষ্টসম্পন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার চুল ফিরে পাবে সুন্দরতা।
নিম্নোক্ত কাজগুলো সাহায্য করবে আপনার ইচ্ছে পূরণেঃ
১)চুল ধোয়ার সময় পরিবর্তন করুনঃ
আপনি কি প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন?এটি আপনার চুলকে শুষ্ক করে দেয়।কারণ চুলকে স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল রাখার জন্য প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া তেল বার বার শ্যাম্পু করার ফলে ধুয়ে যায়।এই অভ্যাসটি আপনার অয়েল গ্ল্যান্ডকে শুষ্ক করে দেয়,ফলে তেল নিঃসরণ কমে যায়।তাই আপনার চুল হয়ে যায় শুষ্ক ও ভঙ্গুর।
চুল ধোয়ার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন-
*সপ্তাহে ৩-৪ বারের বেশি চুল ধোবেন না।প্রতিবার চুল ধোয়ার পর পরের বার ধোয়ার আগে বিরতি দিন।মানে একটানা ৩-৪ দিন ধোয়া উচিত নয়।অচিরেই চুলের সুস্বাস্থ্য ফিরে আসবে।
*কন্ডিশনার লাগানোর পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন,গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
২)যত্নের সাথে চুল নাড়াচাড়া করুনঃ
চুলকে নিজের সবচেয়ে দামী আর সুন্দর পোশাকটির মত ভাবুন।শ্যাম্পুর পর কি চুল নিংড়ান? এতে আপনার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এটি চুলের শেইপ ও ফাইবার নষ্ট করে দেয়।স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একে যত্নের সাথে পরিচর্যা করা উচিত।
*চুল ধোয়ার পর না নিংড়ে তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন।চুল বাতাসে শুকাতে দিন।
*ব্রাশের বদলে মোটা আলের চিরুনি ব্যবহার করুন।ব্রাশ করলে খুব সহজেই চুল ভেঙে যায়।
জট ছাড়ানোর জন্য চুলের নিচে আগে আঁচড়ে তারপর উপরে আঁচড়ান।
৩)হিট স্টাইলিং ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুনঃ
হেয়ার ড্রায়ার,স্টেইটনার,কার্লিং আয়রন এবং হট রোলারস ব্যবহার করবেন না পারতপক্ষে। চুলে হিট দিলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে ভালো।
*মাঝে মাঝে ব্লো ড্রাইয়ার ব্যবহার করতে চাইলে কুল সেটিং- এ করা ভালো।
*হিট স্টাইলিং ডিভাইস ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই প্রোটেক্টিভ সিরাম লাগিয়ে নেবেন।
৪)ঘরোয়া উপায়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করুনঃ
ডিমের কুসুম ও অলিভ মাস্ক,ভিনেগার অথবা ডিমের কুসুম ও স্যোর ক্রিম বা দম্বল লাগাতে পারেন।এসব তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন অনলাইনে।
৫)এগ অয়েল ব্যবহার করুনঃ
এগ অয়েলে আছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড,এন্টিঅক্সিডেন্টস এবং কোলেস্টেরল। চুল পড়া,বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ও কোঁকড়ানো চুলের জন্য এর বিকল্প নেই।