আগেই বলে রাখি, আমার জীবনের এই ১৭ বছরে আমি কখনো ভূত দেখিনি। এই ঘটনাটা আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে ঘটেছিল। তার মুখ থেকেই শোনা। আমি উনার ভাষায় লিখছি।
তখন আমরা গ্রামে থাকতাম। তখন আমাদের গ্রামটা এখনকার মতো এতটা উন্নত ছিলনা। বাড়িঘর খুব কম ছিল। আর আমাদের বাড়ির চারপাশে জঙ্গল ছিল। দিনের বেলাতেও অন্ধকার থাকতো জঙ্গলটা। সবসময় গা ছমছমে পরিবেশ বিরাজ করতো। আমাদের বাড়িটা ছিল অন্যসব বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে।
বলাই বাহুল্য, তখনকার দিনে ভূতের উপদ্রব বেশি ছিল। মাঝেমাঝেই রাতেরবেলায় অদ্ভুত সব আওয়াজ শোনা যেত বাড়ির চারপাশে। আমাদের ঘরের সাথেই ২টা পুরোনো কবর ছিল। শোনা যেত ওই জায়গাটা নাকি খুব খারাপ। অনেকেই অনেক কিছু দেখেছে।
তো যাই হোক, একদিন মাঝরাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে আমার ঘুম ভাঙলো। ঘর থেকে বাইরে বের হলাম। টয়লেটটা ছিল আমাদের ঘর থেকে খানিকটা দূরে। আমার কেমন যেন ভয় ভয় করছিল সেদিন। আমি কাজ শেষ করে ঘরের দিকে পা বাড়ালাম। জোছনার আলোতে সব কিছুই কেমন যেন ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। হালকা বাতাসে বাঁশগাছগুলো একটার সাথে আরেকটা ধাক্কা লেগে চিরচির শব্দ হচ্ছিল। আমি চোখ বন্ধ করে হাঁটতে শুরু করলাম।
হঠাৎ, আমার মনে হলো আমার পিছনে কেউ আসছে। আমার পুরো শরীর থমকে গেল। হাঁটার মতো এক বিন্দু শক্তি অবশিষ্ঠ ছিলনা আমার। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি চিৎকার করতে চাইলাম কিন্তু মুখ থেকে কোন আওয়াজ বের হলোনা। আমি অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে থাকলাম। ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকালাম। তারপর আমি যা দেখলাম তা অবিশ্বাস্য। দেখলাম, আমার পিছনে পাশের বাড়ির কুকুর টপছি দাঁড়িয়ে দিব্যি লেজ নাড়ছে!
আরএম