এক
জানিনা কোথায় লুকিয়ে ছিল প্রেম
শুধু চাঁদের দিকে তাকালে শুরু হত হাহাকার ।
মানবীরা কাছে আসে, কাটে দিন
রাতে সেই একাকীত্ব হাহাকার বারবার ।
বুঝি এই মানবী, এই আকর্ষণ আমার
শুধুই প্রেম; এতে নেই ভালোবাসা ।
বুকের শুন্যতা পূরণ হয়নি সেই প্রেমে
হাতে হাত কিংবা লজ্জিত চুম্বনে ।
কেন যেন মনে হয় ভালোবাসা হবে সেই রাত্রে
যে রাতে চাঁদের মুখে তাকিয়ে হবে না বুকে হাহাকার;
যে রাতে কারো মুখের হাসিতে ভুলব চাঁদকে
শুন্যতাকে ভরে দেবে সুন্দর একটি মুখের ভালোবাসা জয় ।
অবশেষে জীবনে এলো সেই মুখ হঠাৎ করেই
চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখি নেই শুন্যতা
শব্দ করে বেজে উঠা সেই মেয়ের হাসিতে
মনে হয় ঝরে পড়ে মনি মুক্তা;
সেই হাসি শুনি, সেই হাসিমুখ ভাবি
আমার হৃদয় যেন কাচের টুকরোর মতো ভেঙ্গে চুরমার
শুধু একবার তার চোখ দুটোকে দেখবার আশায়।
মানুষের হৃদয় নাকি কিছু বিশেষ শব্দে আন্দোলিত হয়
আমার সেই শব্দ শুধু সেই বাধভাঙ্গা হাসি
বুঝেছিলাম ভালোবাসি আমি, ভালোবাসি এই কিশোরীকেই।।
মেঘ করে, ঝড়ে উলট পালট সকল স্বপ্ন
বৃষ্টি ঝরে পড়ে আমার দু’চোখজুড়ে
কিন্তু সেই বৃষ্টি হয়ত তাকে ছুঁয়ে যায় না ।
বহুদিন পর
আজ আর চাঁদের দিকে তাকালে চন্দ্রাহত হই না
হারিয়ে যাওয়া কিশোরীর হাসিমুখ ভেবে ভালোবাসাহত হই ।
দুই
পাখিরে উড়েই যেতে বলি
তবু খাঁচার মুখটা ধরে রাখি।
খাঁচায় আমার নাই স্বর্গসুখ
তবু তো বউ কথা কও ডাকটা শোনা বাকি।
নাই আমার রাজার সিংহাসন
তবু তো আকাশ খুলে রাখি।
উড়ে তো মুখেই যেতে বলি
বুকের মাঝে জাপ্টে ধরাও বাকি।
হবে না সোনার দাঁতের হাসি
তবু ফোটে ফুল রাশি রাশি।
দূরে তো মুখেই ঠেলে দেই
রাতের আকাশে তারা গোনাতো বাকি।
যাব না ঐশ্বর্যের হাটে
তবু হাঁটি প্রেমসাগরের ঘাটে।
রাগ তো মুখেই ঢেলে দেই
ওই রুপের স্তুতি করাই বাকি।
করি না অন্যের স্বপ্নপূজা
তবুতো পাখিতেই সুখ খোঁজা।
অভিমান মুখেই দেখা যায়
দুনিয়াটা ঘুরেই দেখা বাকি।
না চাই চাতকের মতো হতে
তবুতো বাবুই পাখির ঘর।
ঘরতো মুখেই ভাঙতে চাই
মনেতো পাখির ছবি আঁকি।
হয়েছে ছন্দছাড়া খাঁচা
তবুতো পাখির তরেই বাঁচা।
মরে তো মুখেই যেতে চাই
নিশ্বাসে শ্বাস মেলানো বাকি।
দুনিয়ার মেকিতে কাঁদি না আর
একদিন ছেড়েই চলে যাব।
উড়েতো মুখেই যেতে বলি
পাখিকে ভালোবাসাই বাকি।
উড়েতো মুখেই যেতে বলি
চোখেতে চোখ মেলানো বাকি।
উড়েতো মুখেই যেতে বলি
বুকেতো পাখিকেই ধরে রাখি।
উড়েতো মুখেই যেতে বলি
ভালোবাসি ভালোবাসি ডাক দেয়াটাই বাকি।