-আমিন মুনশি
৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাতে ঘটল অভাবনীয় এক ঘটনা। তাবলীগের শুরার সদস্য ও কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ জোবায়ের সাহেব মোনাজাত করেছেন বাংলা ভাষায়। ব্যাপারটি মুগ্ধ করেছে সাধারণ মুসুল্লিসহ সারা দেশবাসীকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
এবারই প্রথম ব্যতিক্রমী মোনাজাত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুসুল্লিরা। সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। সাধারণ মুসুল্লিদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে, বাংলা ভাষায় আখেরী মোনাজাত হওয়ায় তারা আনন্দিত।
বিশ্ব ইজতেমার এই মোনাজাত আমাদের জাতীয় প্রায় সবগুলি গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ায় শুধু টঙ্গিতে উপস্থিত মুসুল্লিরাই নয় সারা দেশের মানুষ এমনকি সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মোনাজাতে একসাথে হাত উঠিয়ে থাকেন।
শুধু ভাষার কারণেই নয়; বিষয় বৈচিত্রের দিক থেকেও এবারের বিশ্ব ইজতেমা ছিল অনন্য। উলামায়ে কেরামের সম্পৃক্ততা বাড়ায় বয়ানের মধ্যেও যোগ হয়েছিল ভিন্নমাত্রা।
গাজীপুর জেলার মুরগী ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম জানান, ‘আখেরী মোনাজাত বাংলায় হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। আমরা এখন বুঝতে পারি হুজুর মোনাজাতে আমাদের জন্য কী দোয়া করছেন’।
আতর ব্যবসায়ী কামরুল মিয়া বলেন, ‘আগের মোনাজাতে আমরা হুজুরের কথা বুঝতে পারতাম না। শুধু ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলতাম। এ বছর বাংলাতে মোনাজাত করায় আমরা খুশি হয়েছি’।
তিন চিল্লার সাথী ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে তিনি কখনো বাংলা ভাষায় মোনাজাত হতে দেখেননি। তবে বাংলা মোনাজাত সাধারণ মানুষকে বিশ্ব ইজতেমার প্রতি আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশিষ্ট সাংবাদিক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব তার ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে পোষ্ট করেছেন। সেখানে তিনি এবারের বিশ্ব ইজতেমার বিভিন্ন বিষয়ে তার মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। তিনি তার অনুভূতি প্রকাশের পর লিখেছেন, ‘আশা করি উলামায়ে কেরামের সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্ব আরও জোরদার হবার মধ্য দিয়ে এই মেহনত অধিকতর পরিশুদ্ধ হবে। কাটিয়ে উঠবে এর ছোটখাটো ক্রটিগুলো’।
বাংলা মোনাজাতে মুগ্ধ মুসুল্লিরা

Spread the love
Facebook Comments