অক্ষর : প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৫.১৮ শতাংশ এবং ইবতেদায়ি সমাপনীতে পাসের হার ৯২.৯৪ শতাংশ।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ ফলাফল তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
এবার পাসের হার ও জিপিএ ফাইভের সংখ্যা কমেছে। প্রাথমিকে এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন। গতবার এই সংখ্যাটি ছিল দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন।
ইবতেদায়িতেও এবার জিপিএ ফাইভ সামান্য কমেছে। এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ জন। গতবার এই সংখ্যাটি ছিল পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের বিস্তারিত প্রকাশ করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে শনিবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রাথমিক-ইবতেদায়ি সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসির ফল পাওয়া যাবে যেভাবে
প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ির ফল (www.dpe.gov.bd) এবং (http://dperesults.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এছাড়া যেকোনো মোবাইল থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ফল পাওয়া যাবে। আর ইবতেদায়ির ফলের জন্য EBT স্পেস শিক্ষার্থীর আইডি নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বর্ষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করলে ফল পাওয়া যাবে।
অপরদিকে, জেএসসি-জেডিসির ফল (www.educationboardresults.gov.bd) ছাড়াও শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে মিলবে।
এছাড়া মোবাইলে ফল পেতে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ড লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে এসএম করলেও ফল পাওয়া যাবে।
গত ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে মোট ৬টি বিষয়ে প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন। ইবতেদায়িতে ছাত্রসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫২ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ জন।
অপরদিকে, জেএসসি-জেডিসি গত ১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৮ নভেম্বর। এবছর ২৮ হাজার ৬২৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে অংশ নেয়। মোট পরীক্ষার্থী ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন।
জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং জেডিসিতে পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।