অক্ষর : ঈসায়ী ষষ্ঠ শতকের পৃথিবী। সর্বত্র যুদ্ধ সংঘাত, রক্তপাত আর হানা হানী। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বের সর্বত্রই ছিল নৈরাজ্য আর অশান্তি। যুদ্ধ বিগ্রহ ছিল নিত্য নৈমিত্যিক ব্যাপার। ঐতিহাসিকগণের মতে, জাহেলিয়াতের যুগে আরবে প্রায় ১৭০০ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। শান্তির দূরতম লক্ষণ কোথাও দৃষ্টি গোচর ছিল না। বিশ্ব মানবতা ও সভ্যতার এহেন অশান্তিময় পরিস্হিতিতে, সারা দুনিয়া থেকে জাহেলিয়াতের অন্ধকার বিদূরিত করে হেদায়েতের আলোয় গোটা মানবতাকে উদ্ভাসিত করার জন্যে যাঁর আবির্ভাব ছিলো একান্ত অপরিহার্য এবং যিনি ছিলেন কিয়ামত পর্যন্ত এ দুনিয়ায় বসবাসকারী সমগ্র মানুষের প্রতি বিশ্ব প্রভুর পরম আশীর্বাদ স্বরূপ। আসুন তার জীবনী প্রশ্নোত্তর আকারে জানার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন : আমাদের প্রিয় নবীজীর নাম কি?
উত্তরঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
প্রশ্ন : তাঁর পিতা- মাতা ও দাদার নাম কি?
উত্তরঃ পিতাঃ আবদুল্লাহ, মাতাঃ আমেনা, দাদাঃ আবদুল মুত্তালিব।
প্রশ্ন : তাঁর দুধমাতার নাম কি?
উত্তরঃ প্রথম দুধমাতা ছুওয়াইবা (আবু লাহাবের কৃতদাসী) তারপর হালিমা সাদিয়া (রাঃ)।
প্রশ্ন : আমাদের প্রিয় নবীজীর নাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ পাঁচটি। মুহাম্মাদ, আহমাদ, মাহী, হাশের, আক্বেব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। (বুখারী)
প্রশ্ন : তিনি কখন জন্মলাভ করেন?
উত্তরঃ ৯ই রবিউল আওয়াল। মতান্তরে ১২ই রবিউল আওয়াল সোমবার দিন। ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১খৃঃ। হস্তি বছর।
প্রশ্ন : জন্মলাভের পর কে তাঁর লালন-পালনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ দাদা আবদুল মুত্তালিব।
প্রশ্ন : কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নাম মুহাম্মাদ রাখেন?
উত্তরঃ দাদা আবদুল মুত্তালিব।
প্রশ্ন : নবীজীর কত বছর বয়সে তাঁর পিতা-মাতা ইন্তেকাল করেন?
উত্তরঃ তাঁর জন্মের পূর্বে পিতা এবং তাঁর বয়স ৬ বছর হলে মাতা ইন্তেকাল করেন।
প্রশ্ন : নবীজীর প্রশ্নোত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী কত বছর বয়সে তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালেব ইন্তেকাল করেন?
উত্তরঃ তখন তাঁর বয়স ৮ বছর।
প্রশ্ন : দাদা আবদুল মুত্তালেব ইন্তেকাল করার পর কে তাঁর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন?
উত্তরঃ চাচা আবু তালেব।
প্রশ্ন : নবীজী কত বছর বয়সে চাচা আবু তালেবের সাথে শাম দেশ (সিরিয়া) সফর করেন?
উত্তরঃ ১২ বছর বয়সে।
প্রশ্ন : কৈশরে নবীজী কি কাজ করতেন?
উত্তরঃ অল্প বেতনে মক্কাবাসীদের ছাগল চরানোর কাজ করতেন।
প্রশ্ন : কৈশরে নবী করীম সা. পিতৃব্যদের সাথে একটি যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধটির নাম কি?
উত্তরঃ হারবুল ফুজ্জার।
প্রশ্ন : হিলফুল ফযূল কি?
উত্তরঃ মক্কার সম্মানিত লোকেরা অত্যাচারিতের সাহায্য করার জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করে তাকে হিলফুল ফযূল বলা হয়। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিতৃব্যদের সাথে এই চুক্তিতে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন : নবূওতের পূর্বে নবীজীর একটি বিচক্ষণতা পূর্ণ ফায়সালার বিবরণ দাও?
উত্তরঃ তাঁর বয়স ৩৫ বছর। সে সময় কাবা সংস্করণ করা হয়। শেষে কে হজরে আসওয়াদ স্থাপন করে সম্মানিত হবে এনিয়ে মক্কার লোকেরা বিবাদে লিপ্ত হলে নবীজী তাদের মাঝে মিমাংসা করে দেন। একটি চাদরে পাথরটি রেখে সকল গোত্রের প্রধানদের তার কিনারা ধরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং তিনি নিজ হাতে পাথরটি স্থাপন করেন। এতে সবাই খুশি হয়।
প্রশ্ন : যুবক বয়সে নবীজী কি কাজ করতেন? উত্তরঃ ব্যবসা।
প্রশ্ন : তিনি কখন কার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন?
উত্তরঃ তাঁর বয়স যখন ২৫ বছর তখন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় খাদিজার বয়স ছিল ৪০।
প্রশ্ন : তাঁর কতজন স্ত্রী ছিলেন? তাঁদের নাম কি?
উত্তরঃ ১১ জন। তাঁরা হচ্ছেনঃ ১- খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ২- সাওদা বিনতে যামআ ৩- আয়েশা বিনতে আবু বকর ৪- যায়নাব বিনতে খুযায়মা (উম্মুল মাসাকীন) ৫- হাফছা বিনতে ওমর বিন খাত্তাব ৬- যায়নাব বিনতে জাহাশ ৭- উম্মু সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়া ৮- জুআইরিয়া বিনতে হারেছ ৯- ছাফিয়া বিনতে হুওয়াই বিন আখতাব ১০- মায়মূনা বিনতে হারেছ ১১- উম্মে হাবীবা রামলা বিনতে আবী সুফিয়ান। (রাঃ)
প্রশ্ন : রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ স্ত্রীর নাম কি?
উত্তরঃ সর্ব প্রথম স্ত্রী ছিলেন, খাদিজা (রাঃ) এবং সর্বশেষে যাকে বিবাহ করেছিলেন তিনি ছিলেন, মায়মূনা বিনতে হারেছ (রাঃ)।
প্রশ্ন : রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর একমাত্র কুমারী স্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তরঃ আয়েশা (রাঃ)
প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর কতজন সন্তান ছিলেন?
উত্তরঃ ৭ জন। কাসেম, আবদুল্লাহ, যায়নাব, উম্মু কুলছুম, রুকাইয়া, ফাতেমা ও ইবরাহীম (রাঃ)।
প্রশ্ন : নবীজীর নাতী-নাতনীর সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ৭ জন। যায়নাবের সন্তান দুজনঃ আলী ও উমামা। রুকাইয়্যার সন্তান একজনঃ আবদুল্লাহ (শিশুবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন) ফাতিমার সন্তান চার জনঃ হাসান, হুসাইন, উম্মে কুলছুম, যায়নাব।
প্রশ্ন : কতবার এবং কখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর বক্ষ বিদীর্ণ করা হয়?
উত্তরঃ দুবার। একবার শিশুকালে চার বছর বয়সে এবং দ্বিতীয়বার মেরাজে যাওয়ার সময়।
প্রশ্ন : নবুওতের পূর্বে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিভাবে ইবাদত করতেন?
উত্তরঃ ইবরাহীম (আঃ) এর দ্বীন অনুসারে ইবাদত করতেন।
প্রশ্নঃ কোন পাহাড়ের কোন গুহায় নবীজী ধ্যানমগ্ন থাকতেন? উত্তরঃ নূর পাহাড়ের হেরা গুহায়
প্রশ্নঃ কত বছর বয়সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উপর ওহী নাযিল হয়?
উত্তরঃ ৪০ বছর ৬ মাস ১২ দিন।
প্রশ্নঃ কখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উপর ওহী নাযিল হয়?
উত্তরঃ ২১ রামাযানের রাতে সোমবার। ১০ আগস্ট ৬১০ খৃষ্টাব্দ।
প্রশ্নঃ গারে হেরা থেকে ফিরে এলে স্ত্রী খাদিজা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নিয়ে কার কাছে গমণ করেন এবং তিনি কি বলেন?
উত্তরঃ ওরাকা বিন নওফলের নিকট। তিনি বলেন, ইনি এ উম্মতের নবী।
প্রশ্নঃ নবুওত লাভের পর নবীজী কিভাবে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন? উত্তরঃ গোপনে।
প্রশ্নঃ সাহাবীদের সাথে গোপনে কোথায় মিলিত হতেন?
উত্তরঃ আরকাম বিন আবুল আরকামের গৃহে।
প্রশ্নঃ গোপন দাওয়াতের সময় কাল কত বছর ছিল? উত্তরঃ ৩ বছর।
প্রশ্নঃ মক্কী জীবনের দাওয়াতী কাজ কয়টি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল? প্রত্যেক পর্যায়ের সময়কাল কত ছিল?
উত্তরঃ ৩টি পর্যায়ে। ক) গোপন দাওয়াত প্রথম তিন বছর। খ) মক্কাবাসীদের মাঝে প্রকাশ্যে দাওয়াত। নবুওতের ৪র্থ বছর থেকে ১০ম বছর পর্যন্ত। গ) মক্কার বাইরে দাওয়াত। নবুওতের ১০ম বছরের শেষ সময় থেকে হিজরতের পূর্ব পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কারা ইসলাম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ নারীদের মধ্যে খাদীজা রা. পুরুষদের মধ্যে আবু বকর (রাঃ) বালকদের মধ্যে আলী (রাঃ) ক্রীতদাসদের মধ্যে যায়দ বিন হারেছা (রাঃ)
প্রশ্নঃ কাফের হওয়া সত্বেও দাওয়াতী কাজে কে নবীজীকে সহযোগিতা করেন?
উত্তরঃ চাচা আবু তালেব।
প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম মুসলমানগণ কোথায় হিজরত করেন এবং কখন?
উত্তরঃ নবুওতের ৫ম বর্ষে সর্বপ্রথম মুসলমানগণ হাবশায় (বর্তমানে আফ্রিকার ইথিউপিয়া নামক দেশ) হিজরত করেন।
প্রশ্নঃ আবিসিনয়া বা হাবশার দ্বিতীয় হিজরতে কতজন পুরুষ ও কতজন নারী ছিলেন?
উত্তরঃ ৮৩ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী ছিলেন।
প্রশ্নঃ কেন সেই দেশে হিজরত করার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে পরামর্শ দেন?
উত্তরঃ কেননা সেখানকার বাদশা নাজ্জাশী ন্যায় পরায়ন ও দয়ালু লোক ছিলেন।
প্রশ্নঃ কোথায় কতদিন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বয়কট করে রাখা হয়েছিল
উত্তরঃ নবুওতের ৭ম থেকে ১০ম বছর পর্যন্ত ৩ বছর শেবে আবী তালেবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বয়কট করে রাখা হয়েছিল।
প্রশ্নঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নবুওতী জীবনের কোন সময়কে আমুল হুযন বা দুশ্চিন্তার বছর বলা হয়?
উত্তরঃ ১০ম বছরকে। সে বছর তাঁর জীবন সঙ্গীনী খাদিজা (রাঃ) ও তাঁকে সহযোগিতাকারী আবু তালেব মৃত্যু বরণ করেন। আর তখন থেকেই নেমে আসে তাঁর প্রতি অবর্ণনীয় নির্যাতন।
প্রশ্নঃ কোন কোন কাফের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সবচেয়ে বেশী কষ্ট দিয়েছিল?
উত্তরঃ আবু লাহাব, আবু জাহেল, উক্ববা বিন আবী মুআইত্ব, ওতবা, শায়বা, উমাইয়া বিন খালাফ।
প্রশ্নঃ একজন কাফের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে খুবই কষ্ট দিত। তার ধ্বংসের জন্য তার নামে কুরআনে একটি সূরা নাযিল হয়। ঐ কাফেরের নাম কি এবং সূরাটির নাম কি?
উত্তরঃ কাফেরের নামঃ আবু লাহাব। সূরাটির নামঃ সূরা লাহাব।
প্রশ্নঃ নবীজী কখন মেরাজে গমণ করেন ? উত্তরঃ নবুওতের ১০ম বছরে।
প্রশ্নঃ আক্বাবার প্রথম বায়আত কখন অনুতি হয়?
উত্তরঃ নবুওতের ১১তম বছরে। ৪৪. প্রশ্নঃ আক্বাবার প্রথম বায়আতে কোন্ গোত্র থেকে কতজন লোক অংশ নিয়েছিলেন? উত্তরঃ মদীনার আওস ও খাজরায গোত্রের ১২ জন লোক।
প্রশ্নঃ আক্বাবার দ্বিতীয় বায়আত কখন অনুতি হয়?
উত্তরঃ নবুওতের ১২তম বছরে মিনায় আক্বাবার দ্বিতীয় বায়আত অনুতি হয়।
প্রশ্নঃ এই বায়আতে কতজন লোক অংশ নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ মদীনার আওস ও খাজরায গোত্রের ৭৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী এতে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ নবীজী নবুওতের কত বছর মক্কায় অতিবাহিত করেন? উত্তরঃ ১৩ বছর।
প্রশ্নঃ নবীজী কত বছর মদীনায় কাটান? উত্তরঃ ১০ বছর।
প্রশ্নঃ কখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে হিজরতের আদেশ করা হয়?
উত্তরঃ মক্কার কুরায়শগণ দারুন্নদওয়ায় বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে তারা একযোগে মুহাম্মাদ সা. কে হত্যা করবে। তখন আল্লাহ তাকে মক্কা পরিত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রশ্নঃ নবীজী কখন মক্কা ছেড়ে মদীনায় হিজরত করেন?
উত্তরঃ ছফর মাস ১ম হিঃ। ৬২২ খৃষ্টাব্দ।
প্রশ্নঃ হিজরতের পূর্বে নবীজী কাকে তাঁর বিছানায় শায়িত রেখে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ আলী (রাঃ)কে।
প্রশ্নঃ নবীজীর হিজরতের সময় সফর সঙ্গী কে ছিলেন? উত্তরঃ আবু বকর (রাঃ)।
প্রশ্নঃ হিজরতের সময় তিনি কোন গুহায় কত দিন আত্মগোপন করেন?
উত্তরঃ গারে ছাওরে। তিন দিন।
প্রশ্নঃ হিজরতের সময় নবীজী রাস্তা দেখানোর জন্য একজন কাফেরকে পথপ্রদর্শক হিসেবে ভাড়া করে ছিলেন। তার নাম কি?
উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন উরাইকাত।
প্রশ্নঃ নবীজীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য কাফেরগণ কি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল?
উত্তরঃ ১০০ উট।
প্রশ্নঃ নবীজীর উটনীর নাম কি ছিল? উত্তরঃ কাছওয়া।
প্রশ্নঃ নবীজী কখন মদীনায় পৌঁছেন?
উত্তরঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাঃ) সোমবার দিন ৮ রবিউল আওয়াল প্রথম মদীনার কুবায় পৌঁছেন।
প্রশ্নঃ নবীজি কখন মদীনায় প্রবেশ করেন? উত্তরঃ ১২ই রবিউল আওয়াল। শুক্রবার দিন।
প্রশ্নঃ নবীজী মদীনায় গিয়ে কার বাড়িতে অবস্থান করেন?
উত্তরঃ আবু আইয়্যুব আনছারীর (রাঃ) বাড়িতে।
প্রশ্নঃ নবীজী সর্বপ্রথম কোন মসজিদটি নির্মাণ করেন? উত্তরঃ মসজিদে কূবা।
প্রশ্নঃ মদীনায় গিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্থানীয় ইহুদীদের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। ইসলামের ইতিহাসে এটাকে কি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে?
উত্তরঃ মদীনার সনদ। ৬২. প্রশ্নঃ নবীজী কতবার ওমরা করেন? উত্তরঃ চার বার।
প্রশ্ন : নবীজী কতবার হজ্জ করেন? উত্তরঃ একবার। বিদায় হজ্জ ১০ম হিজরী।
প্রশ্ন : বিদায় হজ্জে কতজন লোক নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে হজ্জ করেছেন?
উত্তরঃ ১ লক্ষ লোক। অন্য বর্ণনায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার।
প্রশ্ন : নবীজী কতটি রামাযান রোযা রাখেন? উত্তরঃ নয়টি রামাযান।
প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখন মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তরঃ ১২ই রবিউল আওয়াল। সোমবার। ১১ হিজরী।
প্রশ্ন : মৃত্যুর সময় নবীজীর বয়স কত ছিল? উত্তরঃ ৬৩ বছর।
প্রশ্ন : নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে কোথায় দাফন করা হয়েছে?
উত্তরঃ তাঁর নিজ গৃহে তথা আয়েশা রাঃ এর গৃহে।
প্রশ্ন : নবীজীর নামাযে জানাযা কে পড়িয়েছে?
উত্তরঃ নির্দিষ্টভাবে কোন ইমাম ছিল না। এককভাবে লোকেরা আয়েশা (রাঃ)এর গৃহে প্রবেশ করেন এবং জানাযা পড়েন। প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান বই থেকে সংগৃহীত লেখক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল