অক্ষরবিডি ডটকম
পানিতে আলো পড়ার সাথে সাথে দাদা যা দেখলেন তা দেখে দাদার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। দেখলেন পানিতে একটা মহিলার লাশ ভেসে যাচ্ছে।আর লাশের চোখ জোড়া জ্বল জ্বল করে জ্বলছে।দাদা কিছু বুঝার আগেই লাশটি স্রোতে ভেসে গেল অনেক দূরে।দাদা মশায় একটু সাহসী ছিলেন।তাই একটুও ভয় পেলেন না। তিনি তাবুর দিকে পা বাড়ালেন।আর তখন ঐ দিকের চিতাশালায় শুরু হয়ে গেল তুমুল ঝড়। মনে হচ্ছে যেন কালবৈশাখীর ঝড়ে সব গাছপালা ভেঙ্গে পড়ছে মাটিতে। দাদা মনে মনে বুঝতে পারলেন এগুলো কার কাজ।
১ম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন গল্প হলেও সত্যি ~ ঝুমাইয়া আফরোজ কবিতা
দাদা তাবুতে ফিরে আসতেই শুরু হল ঢিল ছুড়াছুড়ি।বড় বড় মাটির ঢেলা এসে তাবুতে পড়ছে। দাদুর বন্ধু ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে।দাদাকে জিজ্ঞাস করল। এসব কি হচ্ছেরে,এরা কারা এমন করে মাটির ঢেলা ছুড়ে মারছে? দাদা বললেন,চুপ করে বসে থাক।কথা বলিস না। এসব কান্ড কারখানা সব ওনাদের কাজ।
দাদার বন্ধু আরো ভয় পেয়ে গেলেন। এত রাতে কোথাও যাওয়ারও জো নেই। সব অত্যাচার এখন মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে।কি আর করা।
কতক্ষণ ঢিল ছুড়াছুড়ির পর পরিবেশটা একটু শান্ত হল। দাদা ভাবলেন যাক, এবার বাঁচা গেল। এমন সময় আবার শুরু হল কান্নার শব্দ। দাদা তাবু থেকে বেরিয়ে আসলেন ঘটনাটা দেখার জন্য। বাইরে বেরিয়ে দেখলেন যে, দাদা যেখানে বড়শী ফেলেছেন সেখানে একটা অল্পবয়সী মেয়ে ঘুমটা টেনে বসে আছে, আর গুঙ্গিয়ে কান্না করছে। দাদা ঘটনাটা দেখার জন্য একটু সামনে এগিয়ে গেলেন। দাদাজান সামনে এগোলে তো মহিলা আরো সামনে যান।
দাদা খেয়ালই করতে পারছিলেন না যে ওনার সাথে এসব কি হচ্ছে। কতক্ষণ পরে দাদা খেয়াল করলেন তিনি চিতাশালায় এসে পৌঁছে গেছেন। মেয়েটিকেও আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না।চিতাশালায় আবারও শুরু হল ডাল ভাঙ্গার মর্মর শব্দ। মনে হচ্ছে ঝড় উঠেছে চারপাশে। দাদা মনে মনে বললেন এখানে আর একমুহূর্তও থাকা যাবেনা। যা করার এখনই করতে হবে। দাদা মনে মনে সূরা আয়াতুল কুরসী পড়তে লাগলেন।সূরা পড়তে পড়তে তাবুতে রওনা দিলেন। এমন সময় দাদাকে পিছনে কেউ ডাকতে লাগল,বড় বড় তিনটা মাছ ধরেছিস, একটা মাছ আমাদের দিয়ে যা। দাদা কিছু বললেন না। চুপচাপ তাবুতে চলে এলেন।
তাবুতে এসে দাদা তার বন্ধুকে বলতে লাগলেন,চল এক্ষুণি বাড়ি যাব। এখানে আর একমূহূর্ত না।এখানে থাকলে আজকেই আমাদের শেষ দিন আর বাড়ি ফিরতে হবে না।দাদা মাছ তিনটে বড় একটা বস্তায় বেধে সাইকলের সাথে বাধলেন।বড়শী গুলো নিলেন আর সাথে আনা প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। চলবে
এজেড